Header Ads

Header ADS

সন্তান নয়, এই নারীর গর্ভে বাড়ছিল অন্য কিছু!

মাত্র ২০ বছর বয়স। ২৪ বছর বয়সি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ৯ মাস একসঙ্গে থাকার পরে ২০১৬ সালের জুন মাসে হঠাৎই শরীরে বমি বমি ভাব বোধ করেন অ্যালিস হল। সন্দেহ হওয়ায় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে জানতে পারেন তিনি সন্তানসম্ভবা। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরে তিনিও সুখবরটি নিশ্চিত করেন। চিকিৎসক জানান, অ্যালিস চার সপ্তাহের সন্তানসম্ভবা।

বয়স কম হলেও অ্যালিস এবং তার বয়ফ্রেন্ড নতুন অতিথিকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন। খুশির খবরে তখন সুখে দিন কাটছিল দু’জনের। কিন্তু গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহে অ্যালিসের হঠাৎই রক্তপাত শুরু হয়। এর পরেই অ্যালিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন চিকিৎসকরা জানান, অ্যালিসের মিসক্যারেজ হয়েছে। কিন্তু তখনও অ্যালিসের প্রেগন্যান্সি টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একজন সন্তানসম্ভবা মহিলার যাবতীয় লক্ষ্মণও ফুটে উঠছিল অ্যালিসের মধ্যে।
কিন্তু এর এক সপ্তাহ পরে পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা অনুভব করেন অ্যালিস। তখন চিকিৎসকরা ওই তরুণীর কিহোল ল্যাপারোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই ধরা পড়ে, অ্যালিস জেসটেশনাল ট্রোফো-ব্লাস্টিক নিওপ্লাসিয়াতে আক্রান্ত। যার ফলে ওই তরুণীর গর্ভে একটি বড়সড় টিউমার বাড়ছিল। বাযোপ্সিতে ধরা পড়ে, সেটি ছিল ক্যানসারাস।

চিকিৎসকরাই জানান, এটি অত্যন্ত বিরল একটি শারীরিক পরিস্থিতি। এমনকী গোটা ব্রিটেনে মাত্র দু’টি হাসপাতালেই এই রোগের চিকিৎসা হয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, ভ্রুণের আকারের টিউমারটি ওই তরুণীর গর্ভে বড় হচ্ছিল। জটিলতার জন্য প্রথমেই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করতে পারেননি। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আনন্দের বদলে তখন ওই তরুণীকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
প্রথমে চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে আটটি অল্প ডোজের কেমোথেরাপি দেন। এর ফলে টিউমারটির বৃদ্ধি আটকায়। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই ‘প্রসব যন্ত্রণা’ শুরু হয় অ্যালিসের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্তান জন্ম দেওয়ার কায়দাতেই প্রায় এক পাউন্ড ওজনের টিউমারটির বার করা হয় ওই তরুণীর শরীর থেকে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে বিধ্বস্ত অ্যালিস এবং তাঁর সঙ্গী। তাঁদের আশা, এই বিপর্যয় কাটিয়ে খুব শিগগিরই সত্যি সত্যি নতুন অতিথি আসবে তাঁদের জীবনে।

No comments

Powered by Blogger.