Header Ads

Header ADS

বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ রুমানাদের

 জিতলেই শুধু হতো না, বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অনেক বড় ব্যবধানেই জিততে হতো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। কিন্তু সেটিও ছিল দূর কল্পনা। কারণ ছোট দলের বিপক্ষে যতটা দাপুটে ছিল রুমানা আহমেদের দল, বড় প্রতিপক্ষের সামনে ঠিক ততটাই অসহায়। বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা হওয়াতেই প্রত্যাশাও আকাশ ছুঁতে পারছিল না। কেন? সেটির উত্তরও গতকাল পাওয়া হয়ে গেল কলম্বোর নন ডেসক্রিপ্ট ক্রিকেট ক্লাব মাঠে। প্রত্যাশিতভাবেই হার দিয়েই শেষ হয়েছে রুমানাদের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের অভিযান। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে সুপার সিক্সের এ ম্যাচে তাঁরা হেরে গেছেন ৪২ রানে।

অথচ বিশ্বকাপে যেতে হলে তাঁদের জন্য যে সমীকরণ ছিল, সেটি রীতিমতো ‘দুর্গম গিরি’ পাড়ি দেওয়ার মতোই ছিল। যেমন আগে ব্যাট করলে জয়ের ব্যবধান হতে হবে ৮৫ রানের। আর পরে ব্যাট করলে হিসাবটা এমন ছিল যে লঙ্কানরা ২০০ রান করলে সেটি তাড়া করে জিততে হতো ২৭.১ ওভারের মধ্যেই। লঙ্কান মেয়েরা টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২০০ রান করতে না পারলেও গিয়েছে কাছাকাছিই। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে তাঁরা। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট। তাতে এক পর্যায়ে যখন ২১ ওভারে রান ৫ উইকেটে ৬৮, তখনই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর খেলা শুরুই হতে না পারায় বৃষ্টি আইনে নিষ্পত্তি। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জিততে হলে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান থাকার দরকার ছিল ১১১। সুপার সিক্সে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা আগেই বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছিল। গতকাল তাদের সঙ্গে নাম লেখাল পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাও। বাছাই পর্বে রুমানার দল হেরেছে এই চারটি দলের কাছেই। ওদিকে চারটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

কালকের ম্যাচে রুমানাদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন চামারি আতাপাত্তু। তাঁর ১১৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান হাসিনি পেরেরার। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার ছিলেন অফস্পিনার সালমা খাতুন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান নিগার সুলতানার। শায়লা শারমীন অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। যদিও বৃষ্টি নামার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল!

No comments

Powered by Blogger.