Header Ads

Header ADS

প্রশ্নপত্র ফাঁস : দুর্নাম ঘোচাতে হবে

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবারও এসএসসি পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে দেয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষার হলে দেয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। সরকার জঙ্গি দমন করতে পারছে, সরকার বিশ্বব্যাংকে উপেক্ষা করেই পদ্মা সেতুর মতো কঠিন কাজগুলো করতে সক্ষমতা দেখালেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ব্যর্থ হচ্ছে কেন? সংশ্লিষ্টরা কি না দেখার ভান করছেন? পরীক্ষার্থী, অভিভাবকেরাও বলছেন, যে প্রশ্ন তারা অনলাইনে পেয়েছে তার সাথে পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নে পুরোপুরি মিল আছে। সবাই দেখছেন, জানছেন কিন্তু তারা কেন দেখছেন না? সংশ্লিষ্টরা এর দায় কেন নিচ্ছেন না?

তথ্যপ্রযুক্তির কারণে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া সহজ হয়েছে। এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই প্রশ্নপত্র ফাঁস সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। প্রশ্নপত্র বিতরণে ভিন্নতা আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে কৌশলী হতে হবে। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে পরীক্ষার দিন সকালবেলা প্রশ্নপত্র ছাপানো এবং বিতরণ করা যায়। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্র স্থানীয়ভাবে ছাপা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা বিবৃতি দিয়েছেন।

 একই সাথে সৎ ও সাহসী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনউদ্দৌলাহ্র মতো সরকারি আমলাদের এখানে কাজে লাগাতে হবে। যথানিয়মে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশ্নপত্রের নমুনা কপি সংগ্রহ করা হবে। পরীক্ষার রাতে ওই সব সৎ আমলাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল সংগৃহীত প্রশ্নপত্র থেকে বেছে বেছে নতুন প্রশ্নপত্রের সেট তৈরি করবেন। তথ্যপ্রযুক্তিতে ভরপুর থাকবে ওই কক্ষ। সেখান থেকে পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রগুলোতে ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠাতে হবে। কেন্দ্রে আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীদেরও প্রবেশ করাতে হবে। এ সময়ে প্রিন্টারে প্রশ্ন প্রিন্ট করে পরীক্ষার হলে সরবরাহ করতে হবে। তাতে সুফল মিলতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে।

দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা হলো পিএসসি, যার কেন্দ্রের সংখ্যা কমবেশি ৬০০। এই পরীক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত কাঠামো ১২-১৫ কোটি টাকার মধ্যেই গড়া সম্ভব এবং শুধু পিএসসি কেন, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিসহ যেকোনো কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা খুব সহজেই নেয়া সম্ভব। এ ছাড়া বর্তমান প্রশ্নপত্র ছাপা এবং পাঠানোর খরচও অনেক বেশি পড়ে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠালে বর্তমানের তুলনায় খরচ কয়েক গুণ কম হবে তাতে সন্দেহ নেই। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে পরীক্ষার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু আছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ দেশেও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব। আসল প্রশ্ন হলো, সংশ্লিষ্টরা সমাধান চাইছেন কি না!

No comments

Powered by Blogger.