Header Ads

Header ADS

তারেক ও মিশুকের মৃত্যু: মামলার রায় ২২ ফেব্রুয়ারি

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের মামলার রায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

 রোববার দুপুরে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মাহমুদ ফাইজুল কবীর রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন। এ সময় মামলার একমাত্র আসামি বাসচালক জামির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ জন এবং আসামি পক্ষে দু'জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কে অংশ নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল ও এপিপি আফসারুল আমিন এবং আসামির আইনজীবী মাধব সাহা।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস আরোহী তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় যাত্রীবাহী বাস চুয়াডাঙ্গা ডিলাঙ্রে চালক জামির হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

'কাগজের ফুল' চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লোকেশন দেখতে ঢাকা থেকে ওই দিন  মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ইছামতি নদীর পাড়ের শেখ একিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীররা। শুটিং স্পট দেখে ঢাকা ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা ডিলাঙ্রে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাস চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার  হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন।

দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলা এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-আরিচা মহাড়কের ২১টি স্থানকে 'বল্গ্যাক স্পট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডিভাইডারসহ সড়ক চার  লেনে উন্নীত করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.