Header Ads

Header ADS

প্রতিশোধ নিতেই গণধর্ষণ

বড় ভাইয়ের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেত মেয়েটি। আজিমপুর গার্লস হাইস্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পরিচয় হয় মামুনুর রশীদের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। একপর্যায়ে মেয়েটি মামুনকে বিয়ে করতে রাজি হয়। মেয়েটি বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় ছেলে-মেয়েসহ প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয় মামুন। মেয়ে রাজি থাকলেও বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ের পরিবার। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মম প্রতিশোধ নিতেই গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মেয়েটিকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। পুলিশ এই অপকর্মে জড়িত মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন ও শামীমকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে গ্রেফতার দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মেয়েটি অল্প শিক্ষিত। আর মামুন এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করত। মেয়ের পরিবার রংপুরে মামুনের গ্রামের বাড়ি দেখতে যায়। দেখে পছন্দ হয়নি মেয়ে পক্ষের। এ কারণে বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, মেয়েটিকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে কু-মতলব আঁটতে থাকে মামুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীম নামের ওই বাসার এক গাড়িচালককে দিয়ে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। কয়েক দিনের মাথায় এলিফ্যান্ট রোডের পাঁচ তলা বাসার চালকের রুমে ডেকে আনা হয় মেয়েটিকে। পরে ওই রুমেই ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার নাজমুন নাহার যুগান্তরকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। প্রথমে আসামিদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে ম্যানুয়ালি খোঁজখবরের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে শামীমের নামটি জানা সম্ভব হয়। পরে তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ঘটনার নেপথ্যে মামুনের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের বিষয়টি জানতে পারেন তারা।
তিনি বলেন, তাদের দু’জনকে এ মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে। গত সপ্তাহে এই গণধর্ষণের ঘটনায় মামুন ও শামীমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। দুই আসামি এখন কারাগারে রয়েছে। ভুক্তভোগীর বড় ভাই যুগান্তরকে বলেন, ‘বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার বোনের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।’ পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন

No comments

Powered by Blogger.