দুইয়ের বেশি সন্তানে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি!
বিবাহিত জীবনে মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় সন্তান জন্মদানকে। দু-একটা দেশে সর্বোচ্চ সন্তান গ্রহণের একটি নীতিমালা থাকলেও বেশির ভাগ দেশেই এ ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। যদিও ছোট পরিবারের সুফল আর অধিক সন্তান গ্রহণের অপকারিতা নিয়েই সতর্কতা ঠিকই জারি করা হয়। ফলে বেশির ভাগ মানুষই একের অধিক সন্তান গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে দুই সন্তান গ্রহণের প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও, তিন, চার বা আরও বেশি সন্তান গ্রহণের উদাহরণও কিন্তু কম নয়। তবে নতুন গবেষণায় যা বলা হচ্ছে, তাতে এরপর সন্তান নিতে মানুষ অবশ্যই দ্বিতীয়বার ভাববে।
সম্প্রতি চীনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, দুইয়ের বেশি সন্তান নিলে মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং মা-বাবা উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। গবেষকরা বলেন, এক সন্তান মা-বাবার জন্য সুরক্ষার বার্তা নিয়ে আসে। তবে একের বেশি সন্তানে তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে, হাজির হয় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা নিয়ে। আর একাধিক গর্ভধারণ থেকে হরমোনের পরিবর্তন মায়েদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
পাঁচ লাখ মানুষের ওপর চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যাকারী রোগ হিসেবে পরিচিত হৃদরোগের সঙ্গে সন্তান সংখ্যার একটি 'গুরুত্বপূর্ণ' সম্পর্ক রয়েছে। চীনা ওই বিশেষজ্ঞদল দুই সন্তান গ্রহণকে নিরাপদ থাকার শেষপর্যায় বলে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি যারা মাত্র একটি সন্তান গ্রহণ করেছে, তাদের অন্তত এই বিবেচনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে। এই গবেষণার সমর্থনে ওই বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে এর একটি 'আর্থ-সামাজিক' ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
'ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি'র চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেজিজ জাগরসেক বলেন, 'চীনা এই গবেষণার সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, এটি নারী-পুরুষ উভয়ের বিষয়টিই সমানভাবে তুলে ধরেছে।' তিনি বলেন, 'এখন থেকে সন্তানসংখ্যাকেও নারী-পুরুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বড় গবেষণার জন্য এই প্রতিবেদনটি খুব কাজে আসবে।' তিনি বলেন, 'এক সন্তান মা-বাবাদের জন্য একটি রক্ষাকবচের মতো কাজ করে। ফলে তারা শেষ বয়সে সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক সাহায্যটুকু পেয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের যদি অধিক সংখ্যক সন্তান থাকে, তাহলে এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। কেননা অধিক সন্তান মা-বাবার ওপর আর্থিক ও সামাজিক চাপ বাড়াতে থাকে।'
অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, একাধিক গর্ভধারণের ফলে শেষ বয়সে নারীদের মধ্যে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 'আট্রিয়াল ফিব্রিলেল্যাশন' হিসেবে পরিচিত এই অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ফলে 'হার্ট অ্যাটাক' এবং 'স্ট্রোকে' আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৩৪ হাজার ৬৩৯ জন নারীর ওপর চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী চার বা তার বেশিবার গর্ভধারণ করেছে, তাদের অন্তত ৫০ শতাংশই আট্রিয়াল ফিব্রিলেল্যাশনে আক্রান্ত হয়।
তবে দুই প্রতিবেদনের কোনোটিতেই নারীদের সন্তান নেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়নি। বরং গবেষকরা এ বিষয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানের ওপরই জোর দিয়েছেন।
সম্প্রতি চীনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, দুইয়ের বেশি সন্তান নিলে মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং মা-বাবা উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। গবেষকরা বলেন, এক সন্তান মা-বাবার জন্য সুরক্ষার বার্তা নিয়ে আসে। তবে একের বেশি সন্তানে তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে, হাজির হয় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা নিয়ে। আর একাধিক গর্ভধারণ থেকে হরমোনের পরিবর্তন মায়েদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
পাঁচ লাখ মানুষের ওপর চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যাকারী রোগ হিসেবে পরিচিত হৃদরোগের সঙ্গে সন্তান সংখ্যার একটি 'গুরুত্বপূর্ণ' সম্পর্ক রয়েছে। চীনা ওই বিশেষজ্ঞদল দুই সন্তান গ্রহণকে নিরাপদ থাকার শেষপর্যায় বলে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি যারা মাত্র একটি সন্তান গ্রহণ করেছে, তাদের অন্তত এই বিবেচনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে। এই গবেষণার সমর্থনে ওই বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে এর একটি 'আর্থ-সামাজিক' ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
'ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি'র চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেজিজ জাগরসেক বলেন, 'চীনা এই গবেষণার সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, এটি নারী-পুরুষ উভয়ের বিষয়টিই সমানভাবে তুলে ধরেছে।' তিনি বলেন, 'এখন থেকে সন্তানসংখ্যাকেও নারী-পুরুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বড় গবেষণার জন্য এই প্রতিবেদনটি খুব কাজে আসবে।' তিনি বলেন, 'এক সন্তান মা-বাবাদের জন্য একটি রক্ষাকবচের মতো কাজ করে। ফলে তারা শেষ বয়সে সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক সাহায্যটুকু পেয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের যদি অধিক সংখ্যক সন্তান থাকে, তাহলে এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। কেননা অধিক সন্তান মা-বাবার ওপর আর্থিক ও সামাজিক চাপ বাড়াতে থাকে।'
অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, একাধিক গর্ভধারণের ফলে শেষ বয়সে নারীদের মধ্যে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 'আট্রিয়াল ফিব্রিলেল্যাশন' হিসেবে পরিচিত এই অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ফলে 'হার্ট অ্যাটাক' এবং 'স্ট্রোকে' আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৩৪ হাজার ৬৩৯ জন নারীর ওপর চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী চার বা তার বেশিবার গর্ভধারণ করেছে, তাদের অন্তত ৫০ শতাংশই আট্রিয়াল ফিব্রিলেল্যাশনে আক্রান্ত হয়।
তবে দুই প্রতিবেদনের কোনোটিতেই নারীদের সন্তান নেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়নি। বরং গবেষকরা এ বিষয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানের ওপরই জোর দিয়েছেন।