Header Ads

Header ADS

শেষ বিকেলে একটু হাসি

মিরাজের সাহসী ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক আর দলপতি মুশফিকের তিন হাজারি ক্লাবে প্রত্যাবর্তণ বিপদের দিনেও একটু হাসি এনে দিয়েছে টাইগারদের মুখে।

শেষ বিকেলে অর্ধশতক হাঁকান অলরাউন্ডার মিরাজ। ১০৩ বলে ৫১ রান করেন তিনি। যেখানে ১০টি-ই চার হাঁকান তিনি। অর্থাৎ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে ৪০ রান আসে।

সাব্বির রহামনের বিদায়ের পর ব্যাট হাত মাঠে নেমেছিলেন মিরাজ। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর এটি তার পঞ্চম টেস্ট।

টালমাতাল বাংলাদেশের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই মুহূর্তে। সাব্বির আহদেদ ভালোই সংগ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। কিন্তু আশায় গুঁড়েবালি দিয়ে যাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে মাত্র ১৬ রানে ফিরে যান তিনি।

তৃতীয় সেশনটা ভালোভাবে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সাব্বির আহমেদের পর মিরাজ নেমেই মুশফিকুর রহিমকে আস্থা জুগিয়েছেন।

তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় মুশফিক-মিরাজ জুটির পার্টনারশিপ ৮৭ রানের।

অন্যদিকে তিন হাজারি ক্লাবে পৌঁছালেন মুশফিকুর চার হাঁকিয়েই তিন হাজার রান পূর্ণ করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫২টি ম্যাচ খেলে ৩০০৩ রান করেন।

হায়দরাবাদ টেস্টে তিনি এখন ৮১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। তার সাথী হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মুশফিকুর রহিমের টেস্ট অভিষেক হয় ২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম টেস্টটি সুখকর না হলেও ধীরে ধীরে বাংলাদেশ দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েন তিনি।

৫২টি টেস্ট ম্যাচে শতকের সংখ্যা ৪টি, দ্বিশতক আছে একটি এবং অর্ধশতক আছে ১৫টি।

বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়েন তিনি। তামিম, সাকিব এবং হাবিবুল বাশার এই রেকর্ড গড়েন।

আজকের দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত অনেকটাই অগোছালো ছিলো টাইগাররা। বেশ স্বাচ্ছন্দেই ব্যাট করছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ধৈর্য্য হারিয়ে খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। অশ্বিনের বলে উঁচিয়ে মারতে গিয়ে উমেষ যাদবের হাতে নিজেকে তুলে দিয়েই ফিরলেন তিনি। ব্যাট হাতে ১০৩ বলে ৮২ রান করেন তিনি।

তৃতীয় দিনটিও শুরু হয়েছে ভুল বুঝাবুঝির মধ্যেই। মাঠে ঠান্ডা মাথাতেই খেলছিলেন মুমিনুল হক ও তামিম ইকবাল। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ব্যাট করে তামিম এক রান নিয়ে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই বিপত্তিটা ঘটলো। উইকেটের মাঝখানে গিয়ে রান নেবেন কি নেবেন না এই দ্বিধায় ছিলেন মুমিনুল হক। সুযোগটাও কাজে লাগিয়েছে ভারতীয়রা। ভুবনেশ্বর কুমার ততক্ষণে উইকেট ভাঙ্গতে মোটেও দ্বিধা করলেন না।  ফিরে যেতে হলো তামিমকে।

ব্যক্তিগত ২৫ রান নিয়ে বিদায় নেন এই ওপেনার। তামিম ইবাল এক রান নিলেই হয়তো বেঁচে যেতেন কিন্তু এত কাছে বল রেখেও দু’রান নিতে গিয়ে উইকেটের মাঝখানে এসে দুজনেই দ্বিধায় পড়েন। যার খেসারত দিতে হয়েছে আউট হয়ে।

তামিমের বিদায়ের পর ঠিক কিছুতেই সামলে উঠতে পারছিলেন না মুমিনুল হক ও রিয়াদ। কিছুক্ষণ পরই উমেষ যাদবের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। তার উইলো থেকে মাত্র ১২ রান আসে। এই রান সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি ৩৬ বল মোকাবেলা করেন। চার হাঁকিয়েছেন ১টি।

মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব যৌথভাবে চেষ্টা করছিলেন বাংলাদেশকে টেস্টে ফেরাতে। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি! ইশান্ত শর্মার বলে আর রেহাই পেলেন না মাহমুদউল্লাহ।

এলবিডাব্লিউ হলে আবেদন করেন ইশান্ত শর্মা, সাড়াও দেন আম্পায়ার। পরে ডিআরএস সুবিধা নেন মাহমুদউল্লাহ, শেষ রক্ষা হয়নি তাতেও। আউট হয়েই ফিরতে হয় তাকে। ৫৭ বল মোকাবেলা করে ২৮ রান করেন এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
Powered by Blogger.