Header Ads

Header ADS

কিপিং গ্গ্নাভস হারাচ্ছেন মুশফিক!

সিদ্ধান্তটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচকরা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গতকাল আলোচনায় বসেননি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ফেরার পর ২২ ফেব্রুয়ারি বসবেন তারা। সেদিন অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি টেস্টে উইকেটকিপার থাকবেন কি-না। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলংকা সফরে টেস্টে মুশফিককে উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব মুশফিকের কাছেই থাকছে। এ ব্যাপারে কোনো শঙ্কা নেই। আজ শ্রীলংকা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা হতে পারে। আর প্রস্তুতি শুরু হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। শ্রীলংকার উদ্দেশে বাংলাদেশ দল রওনা করবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।

হায়দরাবাদ টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহার সহজ স্টাম্পিং মিস করার পরই মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ফ্লাইটে পরাস্ত হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু মুশফিক বল ধরে দু'বারের চেষ্টাও স্টাম্প ভাঙতে পারেননি। তৃতীয়বারের চেষ্টায় মুশফিক যখন স্টাম্প ভাঙেন ততক্ষণে ক্রিজে ফিরে আসেন ভারতীয় এ ব্যাটসম্যান। নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বেঁচে সেঞ্চুরি হাঁকান ঋদ্ধিমান। শুধু স্টাম্পিং মিসই নয়, টেস্টের প্রথম সেশনে কামরুল ইসলাম রাবি্বর বলে মুরালি বিজয়ের একটি ক্যাচ আয়ত্বের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও ধরার চেষ্টা করেননি মুশফিক। সেঞ্চুরি করেন তিনিও। দীর্ঘদিন ধরেই মুশফিকের কিপিং নিয়ে সমালোচনা চলছিল। হায়দরাবাদ টেস্টের দুটি মিস সে সমালোচনার আগুনে যেন ঘি ঢেলে দেয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনও তাকে কিপিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে, 'টেস্টে আমরা একজন নতুন উইকেটকিপার নেওয়ার খসড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ প্রতিপক্ষের দেওয়া প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' তবে এ বিষয়ে মূল আলোচনার ভারটা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপরই দিতে চান তিনি, 'আমাদের কোচ চন্ডিকা এ ব্যাপারে মুশফিকের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি তাকে বুঝিয়ে বলবেন কেন আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।'

মুশফিকের কিপিং নিয়ে অনেক আগে থেকেই অসন্তুষ্ট কোচ হাথুরুসিংহে। তিন বছর আগে লংকান এ কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে তিন টেস্টে মুশফিককে উইকেটকিপিং থেকে বিরত রেখেছিলেন। ওই তিন টেস্টে উইকেটকিপিং করেছিলেন লিটন দাস। চোট ও ফর্মের কারণে বেশ কিছু দিন ধরে দলের বাইরে ছিলেন লিটন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দলে আবার ফিরেছেন তিনি। আশা করা হচ্ছে শ্রীলংকা সফরের দলে থাকবেন লিটন এবং কিপিং করবেন। মুশফিককে উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো, তার ওপর থেকে ভার লাঘব করা। যেন তিনি চাপমুক্ত হয়ে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস, উইকেটকিপিং না করলে মুশফিকের ব্যাটিং আরও শাণিত হবে।

ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য মুশফিক বলেছেন, তিন দায়িত্বই তিনি চালিয়ে যেতে চান। কিপিং করার পেছনে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, উইকেটের পেছনে থাকলে তিনি পুরো মাঠ ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। তখন তার পক্ষে অধিনায়কত্ব করাটা সহজ হয়ে যায়। উইকেটকিপিং তার কাছে চাপ নয়, বরং তিনি এ দায়িত্ব উপভোগ করেন। তবে এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। অধিনায়কত্বের সুবিধার জন্য তিনি যদি উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলেন, স্টাম্পিং মিস করেন তাহলে তো দল বড় ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে ভয় হলো, মুশফিক ভীষণ আবেগী মানুষ। তাই এ সিদ্ধান্ত না আবার তার ব্যাটিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে! -

No comments

Powered by Blogger.