১৪ গোলের রোমাঞ্চকর রাত
১৪ গোলের রোমাঞ্চকর রাতপরের ৩০ মিনিটে ইতিহাসে ঝড় বইয়ে দিয়েছে গার্দিওলার দল। মোনাকোও কম যায়নি। রীতিমতো শিংয়ে শিং ঠেকিয়ে লড়াই। ফাঁকে-ফোকরে চলেছে এন্তার গা জোয়ারি প্রবণতা। মাথা গরম হয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দেরই। ৭১ মিনিটে আগুয়েরো যেন ফ্যালকাওকে দেখিয়েই নিজের দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন। স্কোর লাইনে তখন ৩-৩ সমতা। নড়েচড়ে বসেছেন ইতিহাদের দর্শকেরা। সুযোগ দুই দলেরই সমান।
কিন্তু ৭৭ মিনিটে জন স্টোন স্কোর লাইন করে ফেলেন ৪-৩। ৮২ মিনিটেই খেলার ভাগ্য পুরোপুরি সিটির দিকে টেনে নিয়ে আসেন সানে, সিটির পঞ্চম গোলটি করে। রোমাঞ্চের সবটুকু নিয়েই যেন কাল রাতে হাজির ছিল সিটি-মোনাকে ম্যাচটি।
সিটি জিতলেও মোনাকো কিন্তু একটা কাজের কাজ ঠিকই করে ফেলেছে ইতিহাদের মাঠে। অ্যাওয়ে মাঠে ৩টি গোল তো আর যেন-তেন ব্যাপার নয়। নিজেদের মাঠে পরের লেগের ম্যাচটা কিন্তু হোম-অ্যাওয়ে সমীকরণের সুবিধাটা নিয়েই নামবে মোনাকো। অবশ্য তাদের ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। কাজটা কঠিনও তো নয়!
ওদিকে বেয়ার লেভারকুসেনের মাঠে ৪-২ গোলে জয় তুলে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটি সিটি-মোনাকো ম্যাচের মতো অতটা না হলেও উত্তেজনার পসরা কিন্তু সাজিয়েই বসেছিল। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া অ্যাটলেটিকো বোধ হয় ভাবেওনি বেয়ার লেভারকুসেন এতটা চাপে ফেলবে।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা স্বীকার করেছেন, মোনাকো ম্যাচ থেকে তাঁর দল অনেক কিছুই শিখেছে। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবে সিটি, ‘দলের তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা মিলে দুর্দান্ত একটা লড়াই করেছে। তাঁরা খেলেছেও দুর্দান্ত। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমাদের অনেক কাজে আসবে।’
ম্যাচে তাঁর দল যে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছে, সেটি অস্বীকার করেননি এই স্প্যানিশ কোচ, ‘ম্যাচে তো অনেক কিছুই হয়েছে। কিছু কিছু মুহূর্তে আমরা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছি। আমরা মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম গোটা ম্যাচেই।’
অ্যাওয়ে মাঠে মোনাকোর ৩ গোল মাথায় আছে গার্দিওলার, যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে ফিরতি লেগে। আমাদের অবশ্যই সে ম্যাচে গোল করতে হবে। এই মুহূর্তে আমার মাথায় একটিই চিন্তা। সেটি হচ্ছে, আক্রমণ, আক্রমণ এবং আক্রমণ
No comments