বরিশাল বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রোগী মোটে চারজন তার পরও অবহেলা!

বিছানার ওপর অপরিচ্ছন্ন চাদর। দেখেই বোঝা যায়, অনেক দিন ধোয়া হয়নি। তার ওপর বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন অ্যাজমা রোগী নুরুল ইসলাম। আর ওই বিছানার নিচে বসে এটা-সেটা খাচ্ছে দুটো বিড়াল। খাওয়া শেষেই পাশের শূন্য আরেকটি বিছানায় শুয়ে পড়ে প্রাণী দুটি।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরিশাল আমানতগঞ্জ বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে। অথচ দুই শয্যার ওই কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দুজন কর্মী আছেন।
একই চিত্র নারী ওয়ার্ডেও। একটি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার ময়না বেগম নামের এক রোগী বিছানার ওপর নিজের কাপড় বিছিয়ে শুয়ে আছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘মাস দেড়েক হলো আছি। এর মধ্যে বিছানার চাদর কেউ ধুয়ে দেয়নি। ’ অথচ ওই কক্ষের জন্যও দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আসেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ময়না বেগম বলেন, ‘আসে। তবে কাজ করতে নয়, ঘুমাতে। সকাল হলে চলে যায়। এরপর আর দেখা মেলে না। ’ তিনি বলেন, ‘সেবিকারা মাঝেমধ্যে আসেন। তবে চিকিত্সকের দেখা মেলে খুব কম। তাই সুস্থ হতে এসে আরো অসুস্থ হয়ে গেছি। ’
ইদ্রিস হাওলাদার নামের এক রোগী বলেন, ‘মাসখানেক আগে ভর্তি হয়েছি। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কক্ষ পরিষ্কার করতে দেখিনি। চিকিত্সকদের দেখাও মিলেছে খুব কম। গত দুই দিনে কেউ আসেননি। পুরো হাসপাতালে মাত্র চারজন রোগী আছে। তাদের জন্য চিকিত্সক, সেবিকা আর পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন ১২ জন। এর পরও সেবা নেই। এখন এই হাসপাতাল ছাড়ার অপেক্ষায় আছি। ’
হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এখানে রোগী খুব কম ভর্তি হয়। চিকিত্সকরা নতুন বলে রোগী কম আসে। ফলে সবার কাজও থাকে কম। তাই হাসপাতালে আসেন না। ’ তিনি জানান, সেখানে তিনজন মেডিক্যাল অফিসার, পাঁচজন সেবিকা ও চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন।
কোব্বাত আলী নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘আমার কয়েক দিন দায়িত্ব ছিল না। আবুল হোসেনের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। তবে সে সিভিল সার্জন স্যারের বাড়িতে কাজ করে। তার পরিবর্তে ফাতেমার দায়িত্ব পালন করার কথা। তবে শুনেছি, ফাতেমা ছুটিতে গিয়ে ফোন বন্ধ করেছে। আর খোলেনি। ’
হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফারহানা বেগম বলেন, ‘রোগী কম বলে আমরা ভাগ করে দায়িত্ব পালন করি। প্রতিদিন একজন চিকিত্সক দুপুর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। এরপর আর থাকার দরকার পড়ে না। ’ পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বলেন, ‘সার্বক্ষণিক হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। তারা করেও। ’
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন বলেন, ‘হাসপাতালে এখন রোগী কম। তবে আমরা ওই হাসপাতালের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হবে। ’
হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এখানে রোগী খুব কম ভর্তি হয়। চিকিৎসকরা নতুন বলে রোগী কম আসে। ফলে সবার কাজও থাকে কম। তাই হাসপাতালে আসেন না। ’ তিনি জানান, সেখানে তিনজন মেডিক্যাল অফিসার, পাঁচজন সেবিকা ও চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন।
কোব্বাত আলী নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘আমার কয়েক দিন দায়িত্ব ছিল না। আবুল হোসেনের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। তবে সে সিভিল সার্জন স্যারের বাড়িতে কাজ করে। তার পরিবর্তে ফাতেমার দায়িত্ব পালন করার কথা। তবে শুনেছি, ফাতেমা ছুটিতে গিয়ে ফোন বন্ধ করেছে। আর খোলেনি। ’
হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফারহানা বেগম বলেন, ‘রোগী কম বলে আমরা ভাগ করে দায়িত্ব পালন করি। প্রতিদিন একজন চিকিৎসক দুপুর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। এরপর আর থাকার দরকার পড়ে না। ’ পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বলেন, ‘সার্বক্ষণিক হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। তারা করেও। ’
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন বলেন, ‘হাসপাতালে এখন রোগী কম। তবে আমরা ওই হাসপাতালের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি। শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হবে। ’
No comments