তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। আজহার আলীই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর তিনিও মন বদলে ফেলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ওয়ানডে দলে তিনি আর অধিনায়কত্ব করছেন না। কাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানই নিশ্চিত করেছেন আজহারের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি, ‘সে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিনায়কত্ব তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। ’

আজহারের স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনার সুযোগ দেননি শাহরিয়ার, জানিয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ওয়ানডে দলেরও দায়িত্ব নিচ্ছেন, ‘আজহারের সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। ও এখন থেকে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলবে ওয়ানডে দলে। অধিনায়ক হিসেবে সরফরাজ আহমেদকেই আমরা বেছে নিয়েছি। ’ উল্লেখ্য গত জানুয়ারিতেই শাহরিয়ার খান, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হক ও জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ মুশতাক আহমেদের বৈঠকে সরফরাজকে অধিনায়ক করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে এই পরিবর্তনের জন্য টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের অবসর পর্যন্ত অপেক্ষা করার শর্ত ছিল। মিসবাহ এখনো অবসরের ব্যাপারে কিছুই জানাননি আর এদিকে আজহার নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন। সরফরাজকে এখনই তাই নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করছে পাকিস্তান। আজহারের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সর্বনিম্ন অবস্থান ৯-এ নেমে গিয়েছিল। এখন অবশ্য এক ধাপ এগিয়েছে তারা। তাতে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সরাসরি খেলার আশাটা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। আজহার মোট ১০টি সিরিজে নেতৃত্বে দিয়েছেন পাকিস্তানকে, তার মধ্যে জয় পাঁচটিতে। এর দুটিই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, একটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অন্য দুটিতে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে তারা। ইংল্যান্ডে ৪-১ সিরিজ হারের পরই তাঁকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। আজহার তা করেননি, পরের সিরিজে তাঁর নেতৃত্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফরেও নেতৃত্বটা তাই তাঁর কাছেই থাকে। ক্রিকইনফো