দুশ্চিন্তা খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপির চিন্তায় নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপি অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় দলটি এখন ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের’ দাবি জোরদার করার চিন্তা করছে। একই সঙ্গে দলটির মূল দৃষ্টি খালেদা জিয়ার মামলার দিকে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হয়নি। নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক। তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড ও কর্ম অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। তাই এমন সিইসির অধীনে কতটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দলটির নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সংশ্লেষ প্রকাশের পর বিএনপি যে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছিল, এখন তার যৌক্তিকতা আরও বেড়েছে। তাই বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাবের মতোই শিগগির নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরে এই দাবিতে ঘরোয়া এবং পর্যায়ক্রমে মাঠের কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল, তার কয়েকটি পর্ব আছে। এর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন। নতুন যে কমিশন হয়েছে, তার অধীন যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এতে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না। পরবর্তী পর্বে বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবে।
দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে কাজ চলছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগির রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এরপরই দলটি পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে চাইছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি রূপরেখা দেবে, তারপর সরকারের মনোভাব দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থায়ী কমিটির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন হয়ে গেছে। এখন বিএনপির সেভাবে কিছু করার নেই। আপাতত নতুন কমিশন কেমন কাজ করে, তা দেখতে চায় বিএনপি। স্থানীয় সরকারের কয়েকটা নির্বাচনে তারা কেমন করে, তা দেখবে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে দলে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলা দুটির বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় বিষয়টি এই মুহূর্তে দলের নেতাদের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় দলীয় প্রধানের মামলা সামনে রেখে সভা-সেমিনারসহ ছোটখাটো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও চিন্তা করছে বিএনপি।
দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ দ্রুত পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। মামলা দুটির ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে যেসব বক্তব্য এসেছে, তাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়া সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। এরই মধ্যে গত সোম ও মঙ্গলবার যথাক্রমে স্থায়ী কমিটি ও জোটের বৈঠক করেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, মামলায় খালেদা জিয়া ও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সাজা হলে দল কীভাবে চলবে, করণীয় কী হবে—এসব নিয়ে ভেতরে-ভেতরে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীর বাসায় বৈঠকও করেছেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হয়নি। নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক। তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড ও কর্ম অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। তাই এমন সিইসির অধীনে কতটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দলটির নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সংশ্লেষ প্রকাশের পর বিএনপি যে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছিল, এখন তার যৌক্তিকতা আরও বেড়েছে। তাই বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাবের মতোই শিগগির নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরে এই দাবিতে ঘরোয়া এবং পর্যায়ক্রমে মাঠের কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল, তার কয়েকটি পর্ব আছে। এর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন। নতুন যে কমিশন হয়েছে, তার অধীন যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এতে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না। পরবর্তী পর্বে বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবে।
দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে কাজ চলছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগির রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এরপরই দলটি পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে চাইছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি রূপরেখা দেবে, তারপর সরকারের মনোভাব দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থায়ী কমিটির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন হয়ে গেছে। এখন বিএনপির সেভাবে কিছু করার নেই। আপাতত নতুন কমিশন কেমন কাজ করে, তা দেখতে চায় বিএনপি। স্থানীয় সরকারের কয়েকটা নির্বাচনে তারা কেমন করে, তা দেখবে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে দলে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলা দুটির বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় বিষয়টি এই মুহূর্তে দলের নেতাদের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় দলীয় প্রধানের মামলা সামনে রেখে সভা-সেমিনারসহ ছোটখাটো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও চিন্তা করছে বিএনপি।
দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ দ্রুত পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। মামলা দুটির ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে যেসব বক্তব্য এসেছে, তাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়া সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। এরই মধ্যে গত সোম ও মঙ্গলবার যথাক্রমে স্থায়ী কমিটি ও জোটের বৈঠক করেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, মামলায় খালেদা জিয়া ও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সাজা হলে দল কীভাবে চলবে, করণীয় কী হবে—এসব নিয়ে ভেতরে-ভেতরে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীর বাসায় বৈঠকও করেছেন।