ভাগ্যের ছোঁয়ায় ফাইনালে বার্সা
গোল, পাল্টা গোলে সমতা, তিন-তিনটি লাল কার্ড, দুই দলের একটি করে গোল বাতিল হওয়া, পেনাল্টি মিস, লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফেরা, শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার নয়জনের দল হয়ে যাওয়া—একটি ফুটবল ম্যাচ থেকে এর বেশি নাটকীয়তা আর হতে পারত না। আর একটা গোল হলেই ম্যাচ লম্বা হতো আরও ৩০ মিনিট!
না, শেষ পর্যন্ত তত দূর যেতে হয়নি। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগটা ১-১ গোলে ড্র করেই কোপা ডেল রেতে টানা চতুর্থ ফাইনালে পা রাখল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা, দুই লেগ মিলিয়ে জয় ৩-২ গোলে।
৪২ মিনিটে বার্সার দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে মেসির নেওয়া শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়েছিলেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ময়া। কিন্তু ফিরতি শটে বল জালে জড়ান লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের সাত মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি মিসের ভুল শুধরে নিয়ে ১-১ করেন কেভিন গামেইরো। ৫৭ মিনিটে সার্জি রবার্তো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। এর ১২ মিনিট পর ইয়ানিক কারাসকো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সুয়ারেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বার্সা রীতিমতো কাঁপতে থাকে। ম্যাচের শুরু থেকে দাপিয়ে বেড়ানো অ্যাটলেটিকো বার্সার গলায় তখন ফাঁস টেনে ধরেছে। একটা গোল হলেই অতিরিক্ত সময়ে যাবে খেলা। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ড বার্সা পার করেছে যেন দাঁতে দাঁত চেপে। সময় নষ্ট করার অজুহাতে একসময় হলুদ কার্ড দেখতে হয় গোলরক্ষক সিলিসেনকে, ২০ মিনিটের মধ্যে যিনি দুর্দান্ত তিনটি সেভ না করলে বার্সা ম্যাচ খুইয়ে বসত। এমনকি ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে শুয়ে পড়ে মেসিও সময় নষ্ট করেছেন। সময় নষ্ট করাটাই তখন জরুরি ছিল বার্সার কাছে। এর আগে গ্রিজমানের একটি গোল বাতিল করা হয়েছে অফসাইডের অজুহাতে। নেইমার নিষিদ্ধ থাকায় খেলতে পারেননি। ইনিয়েস্তা, বুসকেটস, মাচেরানো নেই—বার্সা সেরা একাদশ পায়নি। কিন্তু সুযোগটা পুরোপুরি নিতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। পিকের ফাউলের সুবাদে পাওয়া পেনাল্টিটা বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন গামেইরো। যদিও ৮০ মিনিটের এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন গ্রিজমানের দেওয়া বলে গোল করে। বার্সা জিতলেও ২৭ মের ফাইনালে তারা সুয়ারেজ ও সার্জি রবার্তোকে পাবে না লাল কার্ড দেখায়। বার্সার ক্যারিয়ারে এই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন সুয়ারেজ। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, হলুদ কার্ড পাওয়ার মতো ফাউল এটি ছিল না। দুটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আপিল করবে বার্সা। তবে মনে হচ্ছে, লুইস এনরিকে এ দুজনকে ছাড়াই ফাইনালের জন্য তৈরি, যখন আপনি মনে করবেন, কোনো সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, আপিল করতেই হবে। তবে এ ধরনের আপিলের ক্ষেত্রে ফল কী হয়, সেটাও আমাদের জানা। ভাগ্যের সহায়তা যে পেয়েছেন, সেটি মেনে নিয়েছেন বার্সা কোচ, এই ৯০ মিনিট দিয়ে আমাদের বিচার করা যাবে না। তবে এটাও সত্যি, আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। হেরে গেলেও নিজের খেলোয়াড়দের খেলার তারিফ করেছেন অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে, আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি, তবে মাথা উঁচু রেখেই যাচ্ছি।
৪২ মিনিটে বার্সার দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে মেসির নেওয়া শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়েছিলেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ময়া। কিন্তু ফিরতি শটে বল জালে জড়ান লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের সাত মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি মিসের ভুল শুধরে নিয়ে ১-১ করেন কেভিন গামেইরো। ৫৭ মিনিটে সার্জি রবার্তো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। এর ১২ মিনিট পর ইয়ানিক কারাসকো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সুয়ারেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বার্সা রীতিমতো কাঁপতে থাকে। ম্যাচের শুরু থেকে দাপিয়ে বেড়ানো অ্যাটলেটিকো বার্সার গলায় তখন ফাঁস টেনে ধরেছে। একটা গোল হলেই অতিরিক্ত সময়ে যাবে খেলা। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ড বার্সা পার করেছে যেন দাঁতে দাঁত চেপে। সময় নষ্ট করার অজুহাতে একসময় হলুদ কার্ড দেখতে হয় গোলরক্ষক সিলিসেনকে, ২০ মিনিটের মধ্যে যিনি দুর্দান্ত তিনটি সেভ না করলে বার্সা ম্যাচ খুইয়ে বসত। এমনকি ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে শুয়ে পড়ে মেসিও সময় নষ্ট করেছেন। সময় নষ্ট করাটাই তখন জরুরি ছিল বার্সার কাছে। এর আগে গ্রিজমানের একটি গোল বাতিল করা হয়েছে অফসাইডের অজুহাতে। নেইমার নিষিদ্ধ থাকায় খেলতে পারেননি। ইনিয়েস্তা, বুসকেটস, মাচেরানো নেই—বার্সা সেরা একাদশ পায়নি। কিন্তু সুযোগটা পুরোপুরি নিতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। পিকের ফাউলের সুবাদে পাওয়া পেনাল্টিটা বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন গামেইরো। যদিও ৮০ মিনিটের এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন গ্রিজমানের দেওয়া বলে গোল করে। বার্সা জিতলেও ২৭ মের ফাইনালে তারা সুয়ারেজ ও সার্জি রবার্তোকে পাবে না লাল কার্ড দেখায়। বার্সার ক্যারিয়ারে এই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন সুয়ারেজ। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, হলুদ কার্ড পাওয়ার মতো ফাউল এটি ছিল না। দুটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আপিল করবে বার্সা। তবে মনে হচ্ছে, লুইস এনরিকে এ দুজনকে ছাড়াই ফাইনালের জন্য তৈরি, যখন আপনি মনে করবেন, কোনো সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, আপিল করতেই হবে। তবে এ ধরনের আপিলের ক্ষেত্রে ফল কী হয়, সেটাও আমাদের জানা। ভাগ্যের সহায়তা যে পেয়েছেন, সেটি মেনে নিয়েছেন বার্সা কোচ, এই ৯০ মিনিট দিয়ে আমাদের বিচার করা যাবে না। তবে এটাও সত্যি, আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। হেরে গেলেও নিজের খেলোয়াড়দের খেলার তারিফ করেছেন অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে, আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি, তবে মাথা উঁচু রেখেই যাচ্ছি।