ইডেন কলেজে ছাত্রীকে পেটাল ছাত্রলীগ
ইডেন কলেজে এক ছাত্রীকে পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার বিকেলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলে এই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত ছাত্রী রুচিরা হক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, তিনি বৈধভাবে হলে উঠেছিলেন। কিন্তু এরপরও ছাত্রলীগের নেত্রীরা তাঁর সিটে একটি মেয়েকে তুলতে গেলে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। তাঁর এক আত্মীয় বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে জানান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সকালে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইফফাত জাহান তাঁকে গালাগাল করেন
।
রুচিরা জানান, এই ঘটনার পর তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ইডেন কলেজের কিছু ছাত্রলীগের নেত্রী কলেজকে বাবার সম্পত্তি মনে করে। তাদের কারণে সাধারণ মেয়েরা আতঙ্কে থাকে। কলেজে যারা রাজনীতি করেন তাদের ভদ্র হওয়া উচিত।’
রুচিরা দাবি করেন, তাঁর এই স্ট্যাটাসের পর কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তার বিকেলে তাঁকে হলের নিচে ডেকে নেন। এরপর সেখানে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা আক্তার ওড়না দিয়ে তাঁর গলা পেঁচিয়ে ফেলে দেন। এরপর ইফফাত জাহান, নার্গিস আক্তারসহ চার-পাঁচজন তাঁকে বেধড়ক পেটান। বৃহস্পতিবার তাঁর তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা জানার পরও তাঁকে পেটানো হয়।
ইডেন কলেজের সাধারণ ছাত্রীদের অভিযোগ, হলগুলোতে ছাত্রী তোলার নামে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস করেন না। আর কেউ প্রতিবাদ করলেও তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ কী ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। আমি তখন একজন যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়ে তাকে ডেকে পাঠাই। এরপর বলি তোমাকে কেউ বললে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে জানাতে। কিন্তু সেটা না করে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রলীগের বদনাম করেছ। এইটুকুই। মারধরের ঘটনা আসলে ঘটেনি।’