Header Ads

Header ADS

বাংলাদেশকে সমীহ করছেন অশ্বিনও

‘বাংলাদেশ মাত্রই নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করেছে। সবাই জানি, ওখানে খেলা কখনোই খুব সহজ না। বাংলাদেশ ভালো দল, ওদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই’—রবিচন্দ্রন অশ্বিন ‘উপমহাদেশে বাংলাদেশ বরাবর ভালো খেলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও খেলেছে দারুণ। আমরা তাই ওদের হালকাভাবে নিতে পারি না’—চেতেশ্বর পূজারা কাগজে-কলমে লড়াইটা সমানে সমান না। কাল থেকে হায়দরাবাদে শুরু হওয়া টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট ভারত। র‌্যাংকিংয়ের ১ নম্বর দলের সঙ্গে ৯ নম্বর দলের দ্বৈরথে অমনটাই তো হওয়ার কথা। আবার এমন লড়াইয়ের আবহে পিছিয়ে থাকা দলকে সমীহ করার কথা বলাটাও ‘ক্রিকেটীয়’। ভারতের অফস্পিনার অশ্বিন ও ব্যাটসম্যান পূজারার কণ্ঠে এরই প্রতিধ্বনি। মাত্রই ভারত থেকে নাকানিচুবানি খেয়ে ফেরত গেল ইংল্যান্ড। কারণ হিসেবে বরাবরের মতো সফরকারীদের সেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারাই কাঠগড়ায়। প্রতিবেশী বাংলাদেশের তো আর সেই সমস্যা নেই। পূজারা মনে করিয়ে দিয়েছেন তা, ‘এটি হবে সমলড়াই। বাংলাদেশ সফরে গেলে আমরা এমন কন্ডিশনই পাই। এ কারণে ওদের জন্যও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন কিছু না। যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, তারাই পাবে জয়ের সুযোগ। ’ সমলড়াই হবে বলেও নিজেদের কিছুটা এগিয়ে রাখছেন আর তা যৌক্তিক কারণেই, ‘আমরা সম্ভবত একটু এগিয়ে থাকব। ২০১৬ সালজুড়ে যেমন খেলেছি, সেভাবে খেললে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা ভালো বোলিং করছে, ব্যাটসম্যানরা খেলছে দুর্দান্ত আর লোয়ার অর্ডার থেকেও রান আসছে। আমি বিশ্বাস করি, দল হিসেবে খেলতে পারলে আর নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরাই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকব। ’ র‌্যাংকিংয়ের সিংহাসন ধরে রাখার প্রত্যয়ও পূজারার কণ্ঠে, ‘আমরা এখন র‌্যাংকিংয়ের ১ নম্বর দল। সেটি অবশ্যই ধরে রাখতে চাই। গত বছর যেভাবে খেলেছি, এ বছরও খেলতে চাই সেভাবে। কৌশল নিয়ে পরে কথা হবে। তবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশকে অবশ্যই হারাতে পারব। ’ ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈরথে আলোচনায় যথারীতি স্পিনাররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে থাকা অশ্বিন ফিরছেন। কাল হায়দরাবাদ মাঠের অনুশীলন উইকেটে তাঁর ডেলিভারি খুব বেশি বাউন্স পাচ্ছিল না। তবে এ নিয়ে এই অফস্পিনার খুব বিচলিত নন, ‘এই মাঠের সেন্টার উইকেটে বল আরেকটু বেশি বাউন্স করবে। আউটফিল্ড ঘন সবুজ, স্পিনারদের জন্য মাঠটা বেশ বড়। উইকেটে বল যে একটু থেকে যায়, তাতে আরেকটু বেশি উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ থাকে। এখানে বোলিং করাটা আমি খুব উপভোগ করি। ’ ২০১৫ সালে দুই দেশের সর্বশেষ টেস্টে ফতুল্লায় ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই সুখস্মৃতি প্রেরণা দিচ্ছে অশ্বিনকে, ‘অমন পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তিতে খুশিই হব আমি। সেই টেস্টে আমার হাত থেকে বল বেরোচ্ছিল যেন স্বপ্নের মতো। ’ ওদিকে বাংলাদেশের ঘরের মাঠের শেষ সিরিজে স্বপ্নের অভিষেক হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। ভারতের চিন্তার ছকে এই অফস্পিনারকে রাখতেই হবে। পূজারা প্রশংসাই করেন মেহেদীর, ‘ঢাকার উইকেট একেবারে আলাদা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেহেদীর বোলিং আমি একটু-আধটু দেখেছি। ওকে ভালো বোলার মনে হয়েছে। তবে মুখোমুখি হওয়ার পরই কেবল ওর সম্পর্কে আরো কিছু বলতে পারব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও ভালো বোলিং করেছে, আর ওই উইকেটে টার্নও ছিল প্রচুর। ’ এদিকে কাল থেকে শুরু হওয়া টেস্টের স্কোয়াডে একটি পরিবর্তন এনেছে ভারত। লেগস্পিনার অমিত মিশ্রর জায়গায় দলে ঢুকেছেন চায়নাম্যান বোলার কুলদ্বীপ যাদব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিং করার সময় ইনজুরিতে পড়া মিশ্র ফিট হতে পারবেন না টেস্টের আগে।
Powered by Blogger.