কমিটির নেতৃত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-প্রধানদের চান শিক্ষকেরা

আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি কলেজশিক্ষকদের এ সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামের নাহিদের উপস্থিতিতে এই দাবি জানান বাকশিসের নেতারা।
বর্তমানে সাধারণত স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন। কিছুদিন আগেও পদাধিকারবলে সর্বোচ্চ চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারতেন স্থানীয় সাংসদেরা। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই সুযোগ বন্ধ হয়েছে।
শিক্ষকনেতাদের দাবির জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সম্মেলন থেকে যেসব দাবির সিদ্ধান্ত হবে, সেগুলো তাঁর কাছে দেওয়ার পর তা নিয়ে আলোচনা করবেন। শিক্ষকদের জন্য লড়াই করছেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি ইচ্ছা করলেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তবে তিনি চেষ্টা করে যাবেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী আবারও বলেন, তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করা। আর এটা নিশ্চিত করতে পারেন গুণগত মানের শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের গুণগত মান বাড়াতে তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের দাবি জানান সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় যদি নীতিমালা করেও থাকে, সেটাও শিক্ষকদের জানার অধিকার আছে। তিনি বেসরকারি কলেজশিক্ষকদের জন্য অধ্যাপক পদ সৃষ্টির দাবি জানান।
সমিতির সভাপতি আসাদুল হক বলেন, যে বৈষম্যের জন্য শিক্ষকেরা আন্দোলন করেছেন, এখনো তা দূর হয়নি। এই বৈষম্য দূর করতে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে।
জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজশিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির বিষয়ে সরকারি কলেজশিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বিরোধিতার আন্দোলনের সমালোচনা করেন আসাদুল হক। তিনি ওই সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সংযত হয়ে কথা বলবেন, না হয় আপনাদের বিরুদ্ধেও কথা বলা শুরু হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুন নবী সিদ্দিকী, শিক্ষকনেতা আজিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ। সম্মেলনে সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক প্রতিনিধি অংশ নেন।
No comments