Header Ads

Header ADS

কারও কাছে মাথা নিচু করবো না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা কারও কাছে মাথা নিচু করবো না। এটাই হবে বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের পরিচয়। আমাদের যেটুকু সম্পদ আছে তা নিয়েই আমরা সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো।

 সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভাষা-শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবময় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৭ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যসহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর একুশে প্রদকপ্রাপ্তরা হলেন-ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়ুয়া ও কবি ওমর আলী (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম ও রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম। শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা। সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন ও স্বদেশ রায়, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলা ভাষার মর্যাদা অবশ্যই দিতে হবে। দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা যেন হারিয়ে না যায় তার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা শুরু করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে কাজ শেষ করেছি। কোনও দেশের হারিয়ে যাওয়া ভাষা-মাতৃভাষা আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণ করছি। সে ভাষা নিয়ে গবেষণাও করছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেজা জিয়া বলেছিল, ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নাকি ঠিক নাই। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? এর থেকে জঘন্য কথা আর কিছু হতে পারে না। খালেদা জিয়া পাকিস্তানিদের সুরে কথা বলার চেষ্টা করছেন। এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা ছাড়া আর কিছু না।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এ দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে এগিয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, যেসব গুণী ব্যক্তিত্ব এখনো আড়ালে আছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে। দেশ-জাতির জন্য তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে আমরা কৃতার্থ হব।

No comments

Powered by Blogger.