Header Ads

Header ADS

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউর রহমান এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় ঘেরাও করে পরীক্ষার্থীরা। রোববার এসএসসির গণিত পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।

 সংশ্লিষ্টরা জানায়, রোববার শরীয়তপুরে আলোচিত পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭৮ শিক্ষার্থী শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি গণিত পরীক্ষা দিচ্ছিল। ৩০ মিনিট পর ইউএনও হল পরিদর্শনে যান। এ সময় পরীক্ষার্থীদের এলোমেলো অবস্থায় দেখে ইউএনও অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও চড়-থাপ্পড়ের পর্যায়ে চলে যান।

পরীক্ষা শেষে মারধরের অভিযোগে ডিসির কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে পরীক্ষার্থীরা ফিরে যায়।

এসএসসি পরীক্ষার্থী (বাণিজ্য বিভাগ) আকাশ, গোপাল, রাইজুল ও ইফাত সাংবাদিকদের বলে, গণিত পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ইউএনও স্যার হলে প্রবেশ করেই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর শুরু করেন। এ কারণে আজ আমাদের গণিত পরীক্ষা ভালো হয়নি। আমরা ফেল করলে এর দায়ভার কে নেবেন? তাই আমরা ডিসি স্যারের কার্যালয় ঘেরাও করি।

পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক হেনা রহমান ও হোসনে আরা বলেন, ইউএনও স্যার যা করেছেন, তার বিচার দাবি করছি। তিনি এ রকম কাজ করতে পারেন না। তার কারণে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।

তবে শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুচিত্রা রানী বিশ্বাস বলেন, 'ছাত্রছাত্রীদের ইউএনও মারধর করেননি। পরীক্ষার্থীরা একজন আরেকজনের খাতা দেখে লেখে, স্যার এ ব্যাপারটিতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার্থীরা এমনটা করেছে।'

ইউএনও মো. জিয়াউর রহমান বলেন, 'জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছিলাম। তখন জানতে পারি, শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নকল করছে, আমি তাৎক্ষণিক পরীক্ষাকেন্দ্রে যাই। গিয়ে দেখি একজন আরেকজনের খাতা দেখে লিখছে, নকল করছে। শিক্ষকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করছে তারা। তাই কড়াভাবে কথা বলি আর শাসাই। এ কারণেই তারা এগুলো করছে।'

এ প্রসঙ্গে ডিসি মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, 'ছাত্ররা আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছে। আমি এ ব্যাপারে একটি কমিটি তৈরি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।'


No comments

Powered by Blogger.