ব্র্যাডম্যান-দ্রাবিড়কে ছাড়িয়ে কোহলি
টানা চারটি সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক, যেটা ব্র্যাডম্যান কেন ক্রিকেট ইতিহাসেরই কোনো ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেননি।
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান'_ ক্রিকেটে অতুলনীয় নাম। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির যা অর্জন, এর সঙ্গে তুলনা হয় না কোনো কিছুরই। ৫২ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড় সম্ভবত অলঙ্ঘনীয়ই থেকে যাবে! তেমনি তার ১২টি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিটাও কেউ ছুতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। একটা জায়গায় সেই ব্র্যাডম্যানকেও ছাড়িয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। টানা চারটি সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক, যেটা ব্র্যাডম্যান কেন ক্রিকেট ইতিহাসেরই কোনো ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেননি।
টানা তিনটি সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল ব্র্যাডম্যানের। ১৯৩০ এবং ১৯৩১ সালে রেকর্ডটা গড়েছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড সিরিজেই তিনটি (২৫৪, ৩৩৪, ২৩২) দুইশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন স্যার ডন। পরের বছর ডাবল সেঞ্চুরি (২২৩) করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, পরের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২৬। সুদীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর পর এই কীর্তিতে ডনের পাশে বসেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
কদিন আগেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দুই কিংবদন্তির পাশে বসেছিলেন কোহলি। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ২০৪ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। অথচ গত বছরের জুলাইয়ের আগে কোনো ডাবল সেঞ্চুরিই ছিল না ক্যারিয়ারের ৫৪তম টেস্টেই ইতিহাস লিখে ফেলা কোহলির। অপেক্ষা ঘুচিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে, স্বাগতিক দলের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় ২০০ রানের ইনিংস খেলে, সাড়ে সাত মাসের ব্যবধানে সেখানে যোগ করে ফেললেন আরও তিনটি ডাবল!
রান উৎসবের দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সাবলীল ছিলেন কোহলি। তাকে কিছুটা নড়বড়ে দেখিয়েছে ১৮০ রানের মাথায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ওই সময় তাকে এলবিডবিস্নও ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেচে যান। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে এসেই ইতিহাস গড়া ডাবল। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডবিস্নউ হয়েছেন, তবে রিভিউ চাইলে এ যাত্রায়ও হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। বলটা অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরেই ছিল। এরপরও কোহলি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেননি, আঙুল তুলে দিতেই হাঁটা দিয়েছেন সাজঘরের পথে। ২৪৬ বলে ২৪টি বাউন্ডারির মারে তখন তার নামের পাশে ২০৪ রান।
ইন্দোরে নিউজিল্যান্ড (২১১), মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ড (২৩৫) আর হায়দরাবাদে বাংলাদেশ (২০৪);
এক ভারতীয় মৌসুমে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল কোহলির। সবমিলে সংখ্যাটা চার, সবগুলোই মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব বুঝে পাওয়ার পর। মাত্র ২৩ টেস্টেই ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশনের এই কীর্তি। কোহলি নেতৃত্ব বুঝে পাওয়ার আগে ৪৮৫টি টেস্ট খেলছে ভারত, তাতে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া সব অধিনায়ক মিলে করেছেন ৪টি ডাবল সেঞ্চুরি। এক ভারতীয় মৌসুমে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন কোহলি। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত তার রান ১ হাজার ১৬৮। আগের রেকর্ড ছিল ২০০৪-০৫ মৌসুমে বিরেন্দর শেবাগের ১ হাজার ১০৫।
চলতি মৌসুমে এখনও চারটি টেস্ট বাকি আছে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠেই ওই চার টেস্টের সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোটাকে যেভাবে অভ্যাসে পরিণত করেছেন কোহলি, তাতে তার সামনে টানা ৫টি সিরিজে ডাবলসেঞ্চুরি করার হাতছানিও থাকছে। ভারতীয় কাপ্তান সেটা করতে না পারলেও মৌসুমে তার রান সংগ্রহের ঝুলিটা কিন্তু নিঃসন্দেহ সমৃদ্ধ হবে আরও। কোথায় গিয়ে থামবেন এই রানমেশিন, কে জানে!
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান'_ ক্রিকেটে অতুলনীয় নাম। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির যা অর্জন, এর সঙ্গে তুলনা হয় না কোনো কিছুরই। ৫২ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড় সম্ভবত অলঙ্ঘনীয়ই থেকে যাবে! তেমনি তার ১২টি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিটাও কেউ ছুতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। একটা জায়গায় সেই ব্র্যাডম্যানকেও ছাড়িয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। টানা চারটি সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক, যেটা ব্র্যাডম্যান কেন ক্রিকেট ইতিহাসেরই কোনো ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেননি।
টানা তিনটি সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল ব্র্যাডম্যানের। ১৯৩০ এবং ১৯৩১ সালে রেকর্ডটা গড়েছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড সিরিজেই তিনটি (২৫৪, ৩৩৪, ২৩২) দুইশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন স্যার ডন। পরের বছর ডাবল সেঞ্চুরি (২২৩) করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, পরের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২৬। সুদীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর পর এই কীর্তিতে ডনের পাশে বসেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
কদিন আগেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দুই কিংবদন্তির পাশে বসেছিলেন কোহলি। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ২০৪ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। অথচ গত বছরের জুলাইয়ের আগে কোনো ডাবল সেঞ্চুরিই ছিল না ক্যারিয়ারের ৫৪তম টেস্টেই ইতিহাস লিখে ফেলা কোহলির। অপেক্ষা ঘুচিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে, স্বাগতিক দলের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় ২০০ রানের ইনিংস খেলে, সাড়ে সাত মাসের ব্যবধানে সেখানে যোগ করে ফেললেন আরও তিনটি ডাবল!
রান উৎসবের দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সাবলীল ছিলেন কোহলি। তাকে কিছুটা নড়বড়ে দেখিয়েছে ১৮০ রানের মাথায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ওই সময় তাকে এলবিডবিস্নও ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেচে যান। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে এসেই ইতিহাস গড়া ডাবল। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডবিস্নউ হয়েছেন, তবে রিভিউ চাইলে এ যাত্রায়ও হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি। বলটা অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরেই ছিল। এরপরও কোহলি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেননি, আঙুল তুলে দিতেই হাঁটা দিয়েছেন সাজঘরের পথে। ২৪৬ বলে ২৪টি বাউন্ডারির মারে তখন তার নামের পাশে ২০৪ রান।
ইন্দোরে নিউজিল্যান্ড (২১১), মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ড (২৩৫) আর হায়দরাবাদে বাংলাদেশ (২০৪);
এক ভারতীয় মৌসুমে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল কোহলির। সবমিলে সংখ্যাটা চার, সবগুলোই মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব বুঝে পাওয়ার পর। মাত্র ২৩ টেস্টেই ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশনের এই কীর্তি। কোহলি নেতৃত্ব বুঝে পাওয়ার আগে ৪৮৫টি টেস্ট খেলছে ভারত, তাতে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া সব অধিনায়ক মিলে করেছেন ৪টি ডাবল সেঞ্চুরি। এক ভারতীয় মৌসুমে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন কোহলি। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত তার রান ১ হাজার ১৬৮। আগের রেকর্ড ছিল ২০০৪-০৫ মৌসুমে বিরেন্দর শেবাগের ১ হাজার ১০৫।
চলতি মৌসুমে এখনও চারটি টেস্ট বাকি আছে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠেই ওই চার টেস্টের সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোটাকে যেভাবে অভ্যাসে পরিণত করেছেন কোহলি, তাতে তার সামনে টানা ৫টি সিরিজে ডাবলসেঞ্চুরি করার হাতছানিও থাকছে। ভারতীয় কাপ্তান সেটা করতে না পারলেও মৌসুমে তার রান সংগ্রহের ঝুলিটা কিন্তু নিঃসন্দেহ সমৃদ্ধ হবে আরও। কোথায় গিয়ে থামবেন এই রানমেশিন, কে জানে!