ফলো অন না করিয়ে ভুল করেছেন কোহলি?
রোববার সকালে হায়দরাবাদ টেস্টে লাঞ্চের একটু আগেই যখন বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে গেল, ভারতের চেয়ে তারা ২৯৯ রানে পিছিয়ে এবং সবাই প্রায় ধরে নিয়েছিলেন তাদের আবার তখনই ব্যাট করতে পাঠাবেন ভিরাট কোহলি।
কিন্তু বেশ আশ্চর্যজনকভাবে ফলো অন করালেন না কোহলি, বরং জানিয়ে দিলেন ভারতই দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামবে।
ক্রিকেট ভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর মতে, সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল - কারণ হায়দরাবাদের গরমে টানা দেড় দিন বল করে ভারতীয় সিমাররা ক্লান্ত, তাদের বিশ্রাম দরকার ছিল।
হায়দরাবাদে এখন ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে - এই গরম আর কাঠফাটা রোদে টানা লম্বা স্পেলে বোলিং করে যাওয়া সহজ নয় মোটেই!
তা ছাড়া উইকেট থেকে স্পিনাররাও তখন বিশেষ কিছু টার্ন পাচ্ছিল না - বরং ভারত কিছুটা ব্যাট করার পর উইকেট আরো ভেঙেছে, অশ্বিন-জাডেজার মতো স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছে।
রবি শাস্ত্রীর মতে, "চালটা খেটে গেছে বলেই মনে হয় - এবং বাংলাদেশের জন্য কাজটা এখন বেশ কঠিন।"
তবে তার পরও কোহলির সিদ্ধান্তকে অনেকেই বেশ অপ্রত্যাশিত মনে করছেন।
বাংলাদেশ দলও যেমন ভাবেনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের ফলো-অন করানো হবে না।
বরং শনিবারের খেলার শেষে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, আজ রোববার ফলো অন এড়ানোই হবে তাদের প্রথম লক্ষ্য - এবং লাঞ্চের আগের সেশনে বাংলাদেশের কোনো উইকেট হারানো চলবে না।
কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমারের লেটে সুইং করা বল মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট-প্যাডের ভেতর দিয়ে ফাঁক খুঁজে নেয় - ফলো অন এড়ানোর আশা তখনই অনেকটা শেষ হয়ে যায়।
মেহেদি গত দিনের ৫১ রানের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি, কিন্তু দিনের শুরুতে ৮১ রানে নট আউট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অনায়াসে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
ইশান্ত শর্মার ফিল্ডিংয়ের ফাঁক গলে বল বাউন্ডারিতে পৌঁছতেই শতরান পান মুশফিক, কিন্তু ফলো অন এড়াতে তা যথেষ্ট ছিল না।
শেষে ১২৭ রানের মাথায় মুশফিক আউট হলেন অশ্বিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে, আর ওই উইকেটের মধ্যে দিয়েই ডেনিস লিলির রেকর্ড ভেঙে টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ২৫০ উইকেট তুলে নিলেন অশ্বিন।
এই স্মরণীয় মুহূর্তটার পরই এল বিরাট কোহলির চমক - ফলো অন না-করিয়ে ভারতীয় ওপেনাররা যাতে লাঞ্চের আগেই দু'একটা ওভার খেলতে পারে সেই জন্য প্যাভিলিয়নে ছুটলেন তারা।
একটা সময় টেস্ট ক্রিকেটে ফলো অন করানোর সুযোগ এলে তা করানো নিয়ে অধিনায়করা কখনো দুবার ভাবতেন না, কিন্তু এখন অবস্থা অনেকটা পাল্টেছে।
ফলো অন করানোর পর প্রতিপক্ষ দল দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ করে ম্যাচে ফিরে এসেছে, এমন কী ম্যাচ জিতেও নিয়েছে (ফলো উইন) - টেস্ট ক্রিকেটে এমনও নজির আছে।
বিরাট কোহলি ঠিক কোন অঙ্কে হায়দ্রাবাদ টেস্টে বাংলাদেশকে ফলো অন না-করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার উত্তর কেবল তিনিই জানেন - কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তে ম্যাচটা যে বেশ আকর্ষণীয় অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে কোনো সময় নেই।
আরো যেটা দেখা যাচ্ছে - প্রথম ইনিংসে তেমন একটা পারেননি, কিন্তু এখন রোববারের শেষ বিকেলে অশ্বিন-জাদেজা বল ঘোরাচ্ছেন, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে স্লিপে আজিঙ্কা রাহানের দুর্ধর্ষ ক্যাচিং!
সাধারণত ভারতের টেস্ট উইকেট তৃতীয় বা চতুর্থ দিন থেকেই রীতিমতো ভাঙতে শুরু করে, স্পিনাররাও দারুণ টার্ন পেয়ে থাকেন। কিন্তু হায়দরাবাদে উপ্পলের উইকেট সে দিক থেকে ব্যতিক্রমই মনে হচ্ছে।
রোববারের খেলার শেষে অশ্বিনও দাবি করেছেন, "উইকেট থেকে স্পিনাররা খুব একটা সাহায্য পাচ্ছে না - ফলে দুদিক থেকে চাপ বজায় রাখাটাই বেশি জরুরি। পিচের কারণে নয়, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা চাপের মুখেই উইকেট হারাতে পারেন বলে আমার ধারণা - এবং ধৈর্য ধরে সোমবার সকালের সেশনটা খেলা তাই খুব জরুরি।"
ম্যাচের শেষ দিন, সোমবারের সকালটাই বোধহয় শেষ পর্যন্ত বলে দেবে বাংলাদেশকে ফলো অন না-করিয়ে বিরাট কোহলি কোনো ভুল করেছেন কি না!
কিন্তু বেশ আশ্চর্যজনকভাবে ফলো অন করালেন না কোহলি, বরং জানিয়ে দিলেন ভারতই দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামবে।
ক্রিকেট ভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর মতে, সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল - কারণ হায়দরাবাদের গরমে টানা দেড় দিন বল করে ভারতীয় সিমাররা ক্লান্ত, তাদের বিশ্রাম দরকার ছিল।
হায়দরাবাদে এখন ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে - এই গরম আর কাঠফাটা রোদে টানা লম্বা স্পেলে বোলিং করে যাওয়া সহজ নয় মোটেই!
তা ছাড়া উইকেট থেকে স্পিনাররাও তখন বিশেষ কিছু টার্ন পাচ্ছিল না - বরং ভারত কিছুটা ব্যাট করার পর উইকেট আরো ভেঙেছে, অশ্বিন-জাডেজার মতো স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছে।
রবি শাস্ত্রীর মতে, "চালটা খেটে গেছে বলেই মনে হয় - এবং বাংলাদেশের জন্য কাজটা এখন বেশ কঠিন।"
তবে তার পরও কোহলির সিদ্ধান্তকে অনেকেই বেশ অপ্রত্যাশিত মনে করছেন।
বাংলাদেশ দলও যেমন ভাবেনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের ফলো-অন করানো হবে না।
বরং শনিবারের খেলার শেষে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, আজ রোববার ফলো অন এড়ানোই হবে তাদের প্রথম লক্ষ্য - এবং লাঞ্চের আগের সেশনে বাংলাদেশের কোনো উইকেট হারানো চলবে না।
কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমারের লেটে সুইং করা বল মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট-প্যাডের ভেতর দিয়ে ফাঁক খুঁজে নেয় - ফলো অন এড়ানোর আশা তখনই অনেকটা শেষ হয়ে যায়।
মেহেদি গত দিনের ৫১ রানের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি, কিন্তু দিনের শুরুতে ৮১ রানে নট আউট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অনায়াসে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
ইশান্ত শর্মার ফিল্ডিংয়ের ফাঁক গলে বল বাউন্ডারিতে পৌঁছতেই শতরান পান মুশফিক, কিন্তু ফলো অন এড়াতে তা যথেষ্ট ছিল না।
শেষে ১২৭ রানের মাথায় মুশফিক আউট হলেন অশ্বিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে, আর ওই উইকেটের মধ্যে দিয়েই ডেনিস লিলির রেকর্ড ভেঙে টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ২৫০ উইকেট তুলে নিলেন অশ্বিন।
এই স্মরণীয় মুহূর্তটার পরই এল বিরাট কোহলির চমক - ফলো অন না-করিয়ে ভারতীয় ওপেনাররা যাতে লাঞ্চের আগেই দু'একটা ওভার খেলতে পারে সেই জন্য প্যাভিলিয়নে ছুটলেন তারা।
একটা সময় টেস্ট ক্রিকেটে ফলো অন করানোর সুযোগ এলে তা করানো নিয়ে অধিনায়করা কখনো দুবার ভাবতেন না, কিন্তু এখন অবস্থা অনেকটা পাল্টেছে।
ফলো অন করানোর পর প্রতিপক্ষ দল দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ করে ম্যাচে ফিরে এসেছে, এমন কী ম্যাচ জিতেও নিয়েছে (ফলো উইন) - টেস্ট ক্রিকেটে এমনও নজির আছে।
বিরাট কোহলি ঠিক কোন অঙ্কে হায়দ্রাবাদ টেস্টে বাংলাদেশকে ফলো অন না-করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার উত্তর কেবল তিনিই জানেন - কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তে ম্যাচটা যে বেশ আকর্ষণীয় অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে কোনো সময় নেই।
আরো যেটা দেখা যাচ্ছে - প্রথম ইনিংসে তেমন একটা পারেননি, কিন্তু এখন রোববারের শেষ বিকেলে অশ্বিন-জাদেজা বল ঘোরাচ্ছেন, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে স্লিপে আজিঙ্কা রাহানের দুর্ধর্ষ ক্যাচিং!
সাধারণত ভারতের টেস্ট উইকেট তৃতীয় বা চতুর্থ দিন থেকেই রীতিমতো ভাঙতে শুরু করে, স্পিনাররাও দারুণ টার্ন পেয়ে থাকেন। কিন্তু হায়দরাবাদে উপ্পলের উইকেট সে দিক থেকে ব্যতিক্রমই মনে হচ্ছে।
রোববারের খেলার শেষে অশ্বিনও দাবি করেছেন, "উইকেট থেকে স্পিনাররা খুব একটা সাহায্য পাচ্ছে না - ফলে দুদিক থেকে চাপ বজায় রাখাটাই বেশি জরুরি। পিচের কারণে নয়, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা চাপের মুখেই উইকেট হারাতে পারেন বলে আমার ধারণা - এবং ধৈর্য ধরে সোমবার সকালের সেশনটা খেলা তাই খুব জরুরি।"
ম্যাচের শেষ দিন, সোমবারের সকালটাই বোধহয় শেষ পর্যন্ত বলে দেবে বাংলাদেশকে ফলো অন না-করিয়ে বিরাট কোহলি কোনো ভুল করেছেন কি না!
No comments