অবশেষে উপনির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন কাদের খান

তবে বগুড়ার পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
সরেজমিনে বগুড়া শহরের রহমাননগর জিলাদারপাড়াস্থ ডাক্তার কাদেরের বাসা কাম ক্লিনিক “গরীব শাহ ” -এ গেলে দেখা যায় তার বাসার প্রবেশপথে পোশাকধারী ৫-৬জন পুলিশ অবস্থান করছে। ক্লিনিকের নিচে ৩জন সাদা পোশাকধারী ও দোতলায় চেম্বারের সামনে ওয়েটিং রুমে বগুড়া ও গাইবান্ধার আরো ৩ পুলিশকে দেখা যায়। শুক্রবার ডাক্তার কাদেরের সাথে দেখা করার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও শনিবার তা শিথিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কর্ণেল (অবঃ) ডাক্তার কাদের খান বলেন, গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকতার্রা আমাকে জানিয়েছেন, “গ্রেফতার কিংবা মামলার কারণে আপনার বাসার সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়নি। আপনার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু আপনি নন, সুন্দরগন্জের উপ নির্বাচনে আরো যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকেও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
তাকে বলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হতে পারে, একারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
ডাক্তার কাদের খান আরো বলেন, আমি শনিবার জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি , আমি উপনির্বাচনে অংশ নেব না। জঙ্গি হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, পুলিশ যা বলছে তা বিশ্বাস করছি। ধারনা করে আগাম কিছু বলতে পারবো না। সময়ই বলে দেবে সবকিছু ।
তিনি আরো বলেন, তার ড্রাইভার হান্নান আটক না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে রয়েছে তা তিনি জানেন না। পুলিশ তার এক কর্মচারী নয়নকে তার প্রতিনিধি হিসেবে লাইসেন্স করা দু’টি অস্ত্র সুন্দরগন্জ থানায় শনিবার সকালে নিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, সুন্দরগন্জ আসনের সাবেক এমপি কাদের খান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য । তিনি তার স্ত্রী এ জে ইউ নাছিমা পেশায় চিকিৎসক। সম্প্রতি ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মুন্জুরুল ইসলাম লিটন সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের পর নির্বাচন কমিশন আগামী ২২ মার্চ এ আসনে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা করেছে।
সে মোতাবেক ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। জাতীয় পার্টি দলের এমপি মনোনয়ন দিয়েছেন ব্যরিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে। দলের মনোনয়নবঞ্চিত কাদের খান নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে বর্তমান পরিস্থিতির শিকার বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা
No comments